৬ মে, ২০২৪ ২২:২৮

মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক গবেষণার জন্য অর্থ কোনো সমস্যা নয়: মন্ত্রীপরিষদ সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক গবেষণার জন্য অর্থ কোনো সমস্যা নয়: মন্ত্রীপরিষদ সচিব

দেশে মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ কোনো সমস্যা নয় বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণা এবং উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আমাকে সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই, মানসম্মত এবং প্রাসঙ্গিক গবেষণার প্রস্তাব ও উন্নয়নের জন্য অর্থ কোনো সমস্যা নয়। আমরা বিশ্বাস করি, কার্যকর নীতি গবেষণা ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন, উন্নয়ন, পরিচালনায়, উদ্ভাবন, টেকসই সমাধানে এবং স্মার্ট বাংলাদেশের পথ চলায় আমাদের পরিচালিত করবে।

সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পথ অনুসন্ধান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করেছে। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আজ শেষ দিনের সমাপনী প্লেনারিতে মন্ত্রীপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।  

সচিব বলেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরনের চিহ্ন রেখেছে। শিল্প এবং সেবা খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ‘বাস্কেট কেইস’ থেকে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল দেশে পরিণত হয়েছে। যদিও বৈশ্বিক সংকটের সাথে বাংলাদেশকে খাপ খাওয়ানোর জন্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বৈচিত্র্যকরণ করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উন্নতির ভিশন নির্ধারণ করেছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, উন্নয়ন অধ্যয়নের কারিকুলাম হতে হবে সামগ্রিক। দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ বসে প্রয়োজনভিত্তিক কারিকুলাম উন্নয়ন করলে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। এখানে অর্থনীতি এবং বাণিজ্য যেভাবে দেখবেন একই সাথে উন্নয়নের প্রভাবও আপনারা দেখবেন। 

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রধান বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছি। প্রতিদিনকার এসব সমস্যার সমাধানে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ এমন দূরুহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। একই সাথে তাদের জন্য নীতি প্রণয়ন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবন প্রদান খুবই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, উন্নয়নকে একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে প্রবৃদ্ধি এবং পরিবর্তনকে আনতে হয়। প্রবৃদ্ধিকে আমরা অর্থনীতিতে ফেললেও পরিবর্তনকে কোথায় ফেলবো? এ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, সাহিত্য, প্রযুক্তি মতো সবগুলো বিষয় সংযুক্ত। এতগুলো বিষয়কে একত্রিত করে উন্নয়ন অধ্যায়নে এসে মিলিত হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ। এটি উন্নয়ন খাতে বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ ডিগ্রি প্রদানকারী বিভাগও। আমরা এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য গবেষণাপত্র আহ্বান করেছিলাম, সারা পৃথিবী থেকে ১৭০টি একাডেমিক পেপার আমাদের কাছে জমা পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩১টিকে আমাদের সুযোগ দিতে হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর