১১ মে, ২০২৪ ১৬:৩১

একদিনে শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে ‘সংশয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

একদিনে শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে ‘সংশয়’

রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

শনিবার সকালে শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকরণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। 

একযোগে খালের পাঁচ কিলোমিটার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার মধ্যদিয়ে শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখার কার্যক্রমে ১৫টি পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন বিডি ক্লিনের এক হাজার সদস্যসহ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন। 

রংপুরের বিশিষ্টজনদের সাথে কথা হলে তারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এটি আই ওয়াশ। একদিনে কীভাবে পুরো খাল পরিষ্কার করা সম্ভব। কারণ শ্যামাসুন্দরী খনন না করে ওপরে পরিষ্কার করা হচ্ছে। তাই এর ফলাফল শূন্য হতে বাধ্য। শ্যামাসুন্দরীর তলদেশে শত শত মেট্রিক টন পলিথিন জমাট বেধে রয়েছে। সেগুলো অপসারণ করা না হলে এই উদ্যোগ ব্যর্থ। এছাড়া শ্যামাসুন্দরীতে অবৈধ দখলদার রয়েছে একশ'র উপরে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো অসম্ভব। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ল্যাট্রিনের পানি সরাসরি খালে প্রবেশ করছে। সেইসব লাইন বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ  না নিয়ে পরিচ্ছন্ন কার্যকম শুরু করা হয়েছে। তাও আবার একদিনের জন্য। এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। 

তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, আমার নির্বাচনি ইশতেহারে গ্রিন সিটি এবং ক্লিন সিটি ছিল অন্যতম অ্যাজেন্ডা। সেটিকে পূরণ করার লক্ষ্যে শ্যামাসুন্দরী খালকে পুনরুজ্জীবিত করতে বর্তমান পরিষদ বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে কোভিড রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্টের আওতায় শ্যামাসুন্দরী খালের ৫ কিলোমিটার (চেকপোস্ট হতে শাপলা চত্বর) ময়লাযুক্ত মাটি পুনঃখনন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্যামাসুন্দরী খালকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সৌন্দর্যবর্ধনের প্রয়াস চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে শ্যামাসুন্দরী খাল খনন ও সংস্কারসহ আধুনিকায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট ডিজাইন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী।

প্রায় ১৫.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি উত্তর পশ্চিমে কেব্লাবন্দস্থ ঘাঘট নদী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান দিয়ে মাহিগঞ্জের খোকসা ঘাঘট নদীতে মিশেছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর