১২ মে, ২০২৪ ২০:১৭

অন্তর্বাসে থাকতো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই আসতো প্রশ্নের সমাধান

অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বাসে থাকতো ডিভাইস, ১০ মিনিটেই আসতো প্রশ্নের সমাধান

কথা বলছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস লুকানো থাকতো মেয়ে পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাসে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা কানের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন ক্ষুদ্রাকৃতির বল। প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করতো একটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।

বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতাররা হলেন মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সংবলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৭টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড ও একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

আজ রবিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসতো। বাইরে তাদের একটা ডিভাইস সংঘ (প্রশ্নপত্র সলভার টিম) প্রশ্নের সমাধান করে ফেলতো।

কেন্দ্রের বাইরে থেকে চক্রের সদস্যরা উত্তরগুলো এক এক করে বলতে থাকে। পরীক্ষার্থী তখন কানে থাকা ক্ষুদ্র ডিভাইস, পকেটে থাকা রাউটার আর অন্তর্বাস বা গেঞ্জির ভেতর লুকানো ডিভাইস যুক্ত করে একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা কথা শুনতে পায় এবং উত্তরগুলো সমাধান করে ফেলে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর