শিরোনাম
১৯ জুন, ২০২৪ ২১:৫৪
ক্রয় করতে আসেনি ট্যানারি মালিকরা

২০ হাজার পিছ চামড়ায় লবন মাখিয়ে বসে আছে রংপুরের ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

২০ হাজার পিছ চামড়ায় লবন মাখিয়ে বসে আছে রংপুরের ব্যবসায়ীরা

ফাইল ছবি

রংপুরে চামড়া ক্রয় করতে এখন পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা আসেনি। ফলে প্রায় ২০ হাজার পিস গরু ও খাসির চামড়ায় লবন মাখিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে না পারলে শত শত ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন। এদিকে, প্রতিবছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া ক্রয় করে আড়তে দিলেও এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দেখা যায়নি। ফলে আড়কগুলোতে চামড়ার আমদানি কম হয়েছে। 

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এখন পর্যন্ত কোনও ট্যানারি মালিক চামড়া কিনতে আসেনি। জেলা সদরে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ১৫ থেকে ২০ হাজার পিছ চামড়া ক্রয় করে লবন মাখিয়ে স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন। উপজেলা পর্যায়েও খুব সামান্য চামড়া ক্রয় করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় ২০ হাজার পিছের মত চামড়া ক্রয় করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করতে না এলে চামড়া সংরক্ষণে যে পরিমান লবন  ও অন্যান্য ব্যয় হয়েছে সেই দামও উঠবেনা। ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে রংপুরে চামড়ার ব্যবসায় মারাত্মক ধস নেমেছে। বর্তমানে চামড়ার দাম কম হওয়ায় যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের অনেকেই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাদ্রাসায় দান করে দিয়েছেন। 

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক কম দামে চামড়া কিনতে বাধ্য হয়েছে রংপুরের ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যবসায়ীরা রংপুরে ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। এবছর গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায়

চামড়া কম আমদানী প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, এবার চামড়ার দাম কম হওয়ায় অনেকেই এতিমখানায় অথবা মাদ্রাসায় চামড়া দান করেছেন। ওই সব চামড়া লবন মেখে রেখে দেয়া হয়েছে। দাম বৃদ্ধি পেলে ওইসব চামড়া বাজারে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। রংপুর চামড়া ব্যবসায়ীর সাধারণ  সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ক্রমাগত লোকাসানের ফলে অনেকে চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। আমি নিজেও ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর