২২ জুন, ২০২৪ ১১:৫৯

ফ্রিডম পার্টির নেতার ছেলে রাজশাহী জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতা

অনলাইন ডেস্ক

ফ্রিডম পার্টির নেতার ছেলে রাজশাহী জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতা

রাজশাহী জেলা যুবলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত। সংগৃহীত ছবি

রাজশাহী জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ফ্রিডম পার্টির নেতার ছেলে ইয়াসির আরাফাত ওরফে সৈকতকে।

গত বৃহস্পতিবার যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের যৌথ স্বাক্ষরে তিন বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ইয়াসির আরাফাতের বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন রাজশাহী জেলা ফ্রিডম পার্টির সভাপতি। তিনি দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার ছেলে যুবলীগের এই পদ পাওয়া নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াসির আরাফাতের বাবা হাবিবুর রহমান ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এই সমাবেশে হাবিবুর রহমান তার নির্বাচনি প্রতীক কুড়াল দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। পরে ২০০১ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এমন অবস্থায় থেকেই ২০১৩ সালে মারা যান।

বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী কর্মকর্তার হাতে নৃশংস হত্যার শিকার হন। হত্যাকারী কিছু কর্মকর্তা ১৯৮৭ সালের ৩ আগস্ট এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, যিনি ছিলেন এই হত্যার প্রধান হোতা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা যুবলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত বলেন, তার বয়স কম, তিনি ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাবা ফ্রিডম পার্টি থেকে নির্বাচন করেছিলেন কি না, এ বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তিনি জেলা যুবলীগের গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির (২০০৯-১৪) সদস্য ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের (২০০৩-০৯) সদস্য ছিলেন। সংগঠনের জন্য জেল-জুলুম ভোগ করেছেন।

সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মাহমুদ হাসান ফয়সলকে। তিনি আগের কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন।

যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, জেলা যুবলীগের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির মধ্যে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আংশিক কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা ও মহানগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর