সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, প্রশাসন ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) মর্যাদা হারিয়েছে।
বুধবার ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ‘সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য’ শীর্ষক সংলাপে সংস্থাটির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।
সিপিডি জানায়, সুন্দরবনের দুই-তৃতীয়াংশ মধু বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহীত হয়, ভারত তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করে। তবুও, বাংলাদেশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগোলিক পণ্যের মালিকানা ভারত পেয়েছে।দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক সুন্দরবনের মধুকে ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ৭ বছর ধরে এ আবেদনে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, ভারত ২০২১ সালের ১২ জুলাই আবেদন করে এবং ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি জিআই পণ্যের সনদ পায়।
তিনি আরও বলেন, মধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য এবং এটির জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে ভারত সেটি পেয়ে যায়।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল