শিরোনাম
২৯ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৮

রাজশাহীতে ভোটের রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও কপোত এ্যাপস'র ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

রাজশাহীতে ভোটের রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও কপোত এ্যাপস'র ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা

রাজশাহীতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস) সফটওয়্যার এবং কপোত এ্যাপস'র ব্যবহার সহজীকরণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাজশাহী'র অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেন আস্থার ঘাটতি না হয়, সে জন্য অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এ্যাপটির ব্যবহার কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে সব বিভাগেও এরূপ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে আরও স্মার্টভাবে সেবা প্রদান সম্ভব হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল,  রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কাস্টিং ভোটের সংখ্যা জানাতে প্রত্যেক প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ জন্য সব প্রিজাইডিং অফিসারের জন্য ‘কপোত’ নামের একটি অ্যাপ চালু করা হয়। এই অ্যাপে কেন্দ্রের নাম ও ভোটার সংখ্যা উল্লেখ থাকবে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গৃহীত ভোটের সংখ্যা এতে আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া, রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (আরএমএস) নামে আরেকটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে তারও আগে। এই অ্যাপটি দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অনেক প্রিজাইডিং অফিসার তাদের ভোটের তথ্য সময়মত আপলোড করতে পারেননি। পরে তারা এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভোটের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। একসঙ্গে অনেক হিট হওয়ার কারণে অ্যাপ ধীরগতি হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এছাড়াও কর্মশালায় রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালনকারীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৭০ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

বিডি প্রতিদিন/এএম

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর