৮ জুলাই, ২০২৪ ১৬:২০

রাজধানীতে এক রাতে চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি

রাজধানীতে এক রাতে চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

রাজধানী ঢাকায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মুগদায় সুমি আক্তার (৩০), মিরপুরে রাজিয়া আক্তার (১৮), বিমানবন্দর এলাকায় মো. ইব্রাহিম দিপু (২৭) ও বনানীতে ইমরান হক (৫০)।

সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আজ সোমবার সকালে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

গতকাল রবিবার রাতে ঘটনাগুলো ঘটে।

মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আঙ্গুরা আক্তার সীমা রবিবার দিবাগত রাত দেড়টায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুমী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেন। সুমী পারিবারিক কলহে কীটনাশক (বিষ) পানে অসুস্থ হলে তাকে সেই হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। তিনি আইসিইউতে মারা যান। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশি গ্রামের ইসমাঈল ও খাদিজা বেগমের মেয়ে এবং ইব্রাহিমের স্ত্রী।

এদিকে, একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালমা বেগম মিরপুর-১০ নম্বর সেকশনের সি- ব্লকের ১৭ নম্বর লেনের বাসা থেকে রাজিয়া আক্তার অন্তর (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের স্বজনদের বরাদ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, মেয়েটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছেন। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার রাজন আলীর মেয়ে।

অপরদিকে, একই দিন বিকালে টয়েলেটে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দর থানার ইশান কলোনীর পাশে সিভিল এভিয়েশন মাঠের দেয়ালের পশ্চিম পাশে বৈদ্যুতিক তারের সাথে  বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে থাকেন মো. ইব্রাহিম দীপু। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন রাত সাড়ে ১০ টায় তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম দীপু। বর্তমানে দক্ষিণখানে আশকোনায় থাকতেন।

অন্যদিকে, একই দিন রাত ১১টার দিকে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন, বনানী এইচ- ব্লকের ১১ নম্বর রোডের ৪৩ নম্বর বাসার ২য় তলায় বাথরুমের বাথটপের মধ্য থেকে ইমরান হক সাজনের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেন।

মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাসায় তিনি একাকী থাকতেন। তার স্ত্রী, সন্তান নিকট আত্মীয়-স্বজন কেউ তার সঙ্গে থাকতেন না। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। এর আগে দুই বার স্ট্রোকও করেছিলেন। এছাড়া তিনি নেশাগ্রস্ত থাকতেন।

তার চাচাতো চাচা ফারুক রবিবার ফোন না পেয়ে, পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে বাসায় গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠিয়েছেন। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক (মৃত)।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর