কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, মেট্রোরেল ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমানসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতার বাকি আসামিরা হলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমানের সহযোগী মো. সজল মিয়া (২৪), আল ফয়সাল রকি (২৭) ও মো. আরিফুল ইসলাম (৩০)।
গত সোমবার রাজধানীর মিরপুর ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল।অভিযানে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি শর্টগানের খালি খোসা, দুটি ল্যাপটপ, তিনটি সিপিইউ, একটি হার্ড ডিক্স, একটি মডেম, একটি এটিএম কার্ড, চারটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১১ হাজার ৮৮৭ টাকা।
র্যাব জানায়, আসামিরা সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের নির্দেশনায় তারা এ হামলা ও নাশকতায় অংশ নেন। গ্রেফতার আসামিরা মূলত তারেকের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে রাজধানীর বিটিভি ভবনসহ, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনসহ রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করেন।
দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী মহলের সঙ্গে তারেক নিয়মিত যোগাযোগ করতেন বলেও জানায় র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ