১৪ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:১৪

লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে, তাদের কোনো ছাড় দিবেন না: জামায়াত আমির

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে, তাদের কোনো ছাড় দিবেন না: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, এখন যদি কেউ আবারও এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে তা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে। আর যেনো তা না করতে পারে সেজন্য আপনার অলিগলিতে, এলাকায় এলাকায় তাদের হাত অবশ করে দিবেন। 

আজ বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী দোয়েল চত্বর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা তরুণী সুমাইয়ার মায়ের বাড়িতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা এখানে এসেছিলাম শহীদ বোন সুমাইয়ার অবুঝ শিশুকে দেখতে। যার মুখে এখনো ভাষা ফুটে নাই। এই শিশুর যখন মুখে ভাষা ফুটবে তখন তারা মা ডাকার মতো কেউ রইলো না। এই শিশুর মতো যারা মা হারিয়েছেন, যারা বাবা হারিয়েছে, যারা নিজেদের সন্তানদের হারিয়েছে- আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেনো তাদের ধৈর্য্য ধারণ করার ক্ষমতা দেন। 

নিহত সুমাইয়ার মেয়ে সুয়াইবার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এই অবুঝ বাচ্চার এখন থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত পড়াশোনাসহ যাবতীয় দায়িত্ব আমরা নিলাম।

তিনি আরও বলেন, যারা জালিমের হাতে মৃত্যুবরণ করলেন আল্লাহ তাদের শহীদের মর্যাদা দান করেন। এলাকাবাসীর নিকট অনুরোধ রইল, জুলুমের হাত থেকে বাঁচতে হাজারো মানুষ তাদের বুক পেতে দিয়েছেন। লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের কোনো ছাড় দিবেন না। ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এবার জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপোস করে না। তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করলো তারা দেশে শান্তি চায়। আমরা যেনো দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। 

সরকার পতনের পর যারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে আমির বলেন, যারা এসব অপকর্মে জড়িত হচ্ছেন তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলবো আপনারা শিক্ষা নেন, এখনো মানুষের বুকের চাপা কষ্ট দূর হয়নি। বাড়াবাড়ি যারাই করবেন জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দিবেন। আর আসল বিচার আল্লাহতায়ালা করবে।

এসময় ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। এমতাবস্থায় পাইনাদী দোয়েল চত্বর এলাকায় দৌড়াদৌড়ির আওয়াজ শুনে বিকাল বেলায় মায়ের ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। এসময় একটি গুলি জানালার এসএস পাইপের ছিদ্র হয়ে তার মাথার বাম পাশে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

এসময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণ পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল,  নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মমিনুল হক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ নায়েবে আমির এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, মহানগরী নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসাইন, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি জামাল হোসাইন, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল মোমিন, এড. নিজাম উদ্দিন, অমিত হাসান, আমজাদ হোসাইন, রায়হান প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর