১৬ আগস্ট, ২০২৪ ১৮:৫৫

কারওয়ান বাজারে ভোক্তার অভিযান, মরা মুরগি ফ্রিজে রেখে রেস্তোরাঁয় সরবরাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারওয়ান বাজারে ভোক্তার অভিযান, মরা মুরগি ফ্রিজে রেখে রেস্তোরাঁয় সরবরাহ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় মরা মুরগি ফ্রিজে রেখে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহের অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় মরা মুরগি  ফ্রিজে রেখে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহের অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে কিচেন মার্কেটের মেসার্স আল্লাহর দান চিকেন হাউজের ব্যবসায়ী সুমনকে এই জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্তকে থানায় সোপর্দ করা হয়। অভিযানে শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারে অরো চারটি টিম তদারকি করছে। আমি কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটে দেখলাম মেসার্স আল্লাহর দান চিকেন হাউজ ১৮৫ ও ১৯৩ টাকায় সোনালী মুরগি কেনে। কিন্তু বিক্রি করছে ২৬০টাকা কেজিতে, যেটা অনৈতিক। অতিরিক্ত লাভের প্রবণতা রয়েছে।

তিনি বলেন, মুরগির দোকানে ফ্রিজ থাকার কারণ জানতে চাইলে একজন বলেন, দুর্বল মুরগি প্রসেস করে ফ্রিজে রাখেন। পরে সেগুলো বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করেন। কিন্তু আরেকজন বলেছেন, এসব মুরগি বাসায় নিয়ে নিজেরা রান্না করে খান। সবশেষে স্বীকারোক্তি দিলেন, এগুলো আসলে মরা মুরগি এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করেন। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, বাজার তদারকির জন্য শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কিচেন মার্কেটে যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। এ সময় মেসার্স আল্লাহর দান চিকেন হাউসের ফ্রিজের ভিতর প্রায় ১৫০ কেজি মুরগি সংরক্ষণ করে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী জানান, রাতে মুরগি কেনা-বেচার সময় অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির মুরগি প্রসেস করে ফ্রিজের সংরক্ষণ করা হয়। এগুলো দিনের বেলায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করা হয়। বিক্রয় রশিদ বই চেক করে দেখা যা,য় প্রসেস করা ফ্রিজের সোনালী মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। অন্য আরেকজন কর্মচারী জানান, ফ্রিজের এই মুরগিগুলো তারা নিজেরা ভাগ করে বাসায় খাবারের জন্য নিয়ে যান। জেরার একপর্যায়ে একজন কর্মচারী মরা মুরগি ফ্রিজে সংরক্ষণ করার কথা স্বীকার করেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর