শিরোনাম
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:০৯

কুমিল্লা দক্ষিণে চড়া দামেও মিলছে না পণ্য, বন্যার্তদের হাহাকার

কুমিল্লা প্রডিনিধি

কুমিল্লা দক্ষিণে চড়া দামেও মিলছে না পণ্য, বন্যার্তদের হাহাকার

কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যা আক্রান্ত এলাকার বাজারে ফুরিয়ে আসছে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য। নিচু জায়গার বেশির ভাগ বাজার পানির নিচে। আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে টান পড়ে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, আলু, তেল, পিয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যে। 

বন্যার কারণে সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটায় বন্যা আক্রান্ত এলাকার অপেক্ষাকৃত উঁচু বাজারগুলোতে নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে। এছাড়া জরুরি ওষুধের সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।

নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।

ওই উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ পাচ্ছে। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণের দরকার।

চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যা আক্রান্ত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় ৫ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।

দেবিদ্বারের রসুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আগে থেকে বৃষ্টির পানির কারণে জলাবদ্ধতা ছিল। গোমতীর পানি ঢুকে এখন বন্যায় রূপ নিয়েছে। মানুষের লাখ লাখ টাকার মাছের ঘের ভেসে যাচ্ছে।
তিনদিন বৃষ্টি না থাকলেও রবিবার দুপুর ২টা থেকে কুমিল্লায় পুনরায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে সঙ্কট আরও ঘণীভূত হতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর