শিরোনাম
২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:০৯

ফার্মেসি থেকে দেওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে শিশুর মৃত্যু, দোকানি পলাতক

ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি

ফার্মেসি থেকে দেওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনে শিশুর মৃত্যু, দোকানি পলাতক

রাজধানীর সবুজবাগে ফার্মেসি থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ায় তা সেবনের পর নাদিয়া খাতুন নামে ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে সবুজবাগের নন্দিপাড়া দক্ষিণগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ফার্মেসি দোকানির কথামতো ওষুধ সেবনের পর অসুস্থতা বেড়ে গিয়ে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরে ওই অবস্থায় তাকে পুনরায় সেই ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে, তাদের কথামতো মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন ঢাকা মেডিকেল মর্গে শিশুটির মরদেহ রয়েছে।

শিশুটির বাবা দিনমজুর মো. নাসির বলেন, গত শনিবার বাচ্চাটা একবার বমি করে। পরে ঠিক হয়ে যায়। আর কোনো সমস্যা হয়নি। পরদিন রবিবার আমি কাজে চলে যাই। বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে মেয়েটা আবার বমি করে, বিষয়টি আমাকে ফোনে জানায় আমার স্ত্রী রিপা আক্তার। পরে তাকে বলি বাড়ির পাশে একটি ফার্মেসি আছে, সেখানে গিয়ে শিশুটির সমস্যার কথা বলে ওষুধ নিয়ে আসতে। তারা ওই দোকানে যায়। শিশুটিকে দেখিয়ে বমির করার বললে, সেই দোকান থেকে তিনটি সিরাপ দেয়। একটি বমির, একটি এন্টিবায়োটিক ও একটি ভিটামিন সিরাপ। এবং ওই সিরাপের গায়ে লিখে দেয় তিনটা থেকে এক চামিচ করে খাওয়াতে। তাহলেই নাকি ভালো হয়ে যাবে।

আমরা বিভিন্ন সময়ে ওই দোকান থেকেই ওষুধপত্র কিনে থাকি। বিষয়টি শোনার পর আমি স্ত্রীকে বলি আধা চামিচ করে খাওয়াতে।

দোকানির কথামতো মেয়েটিকে ওষুধ খাওয়ার পর সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায় খিচুনি হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে ফার্মেসি হয়ে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক বলেন, শিশুটিতো আগেই মারা গেছে।

মো. নাসির আরও বলেন, এরপরে আমরা বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে চাই কী ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। পরে দেখা যায়, ভিটামিন সিরাপটির মেয়াদ ২৩ সালেই শেষ হয়ে গেছে। আর ওই ওষুধ সেবনের কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি ফার্মেসির দোকানির বিচার চাই।

সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম মিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠান। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ সিরাপ জব্দ করেন।

এদিকে শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ শুনে ওই ফার্মেসির দোকানি পালিয়ে যান।

মো. নাসিরের বাড়ি চাদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও গ্রামে। আরিফা (৪) নামে তার আরেক মেয়ে রয়েছে। বর্তমাসে সবুজবাগের নন্দিপাড়ার দক্ষিণগাঁওয়ে পরিবার নিয়ে থাকেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর