বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)’র জিএম ( উত্তরাঞ্চল) আব্দুল মালেকের বদলি বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্তে ঢাকা থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রংপুরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার তারা বিটিসিএল অফিস পরিদর্শন করে অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড বিটিসিএল এর জিএম (এইচআর-১) সাঈদ মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্ত কমিটিকে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটিতে ছিলেন- বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি (পিএন্ডডি) আমিনুর রহমান, জিএম (প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেশন)আনোয়ার হোসেন মাসুদ এবং জিএম (এইচআর-১)সাঈদ মাহমুদ। তাদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল মালেক জিএম-২, রংপুর যোগদানের পর থেকে তার অপেশাদার আচরণ এবং খামখেয়ালী কর্মকান্ডের কারণে এই অঞ্চলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাঝে রোষের সৃষ্টি হয়েছে। এক মাসে ৪৫ জনসহ গত দুই মাসে প্রায় ৬০ জনের বেশি কর্মচারী বদলি করেন জিএম। এতে অধিক্ষেত্রের ১০টি জেলায় বিটিসিএল এর সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। বদলিগুলো জিএম ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্ষোভ, খেয়াল খুশি অনুযায়ী করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কিছু কর্মচারিকে বদলির কয়েকদিনের মাঝেই পুনরায় বদলি করে পূর্বের পদে নিয়ে এসেছেন। এধরনের বদলি বিটিসিএল এর কোন স্বার্থ নয় বরং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে করা হচ্ছে অভিযোগ উঠে। তার পদবির বিপরিতে বরাদ্দকৃত গাড়ি ছাড়াও অন্য ইউনিটের গাড়ি বেআইনী ভাবে ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গত সপ্তাহে জিএমের অনিয়মের প্রতিবাদে রংপুর, দিনাজপুর এবং বগুড়া টেলিকম বিভাগের ১০টি জেলার বিটিসিএলের কর্মকর্তা কর্মচারিরা তাদের দাপ্তরিক কাজকর্ম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানায়।
এর আগে জিএম (উত্তরাঞ্চল) মোহাম্মদ আব্দুল মালেক গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে রংপুর অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি রাজশাহীতে রয়েছেন। জিএময়ের প্রেষণাদেশ বাতিলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি রংপুরে আসেন।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির সদস্য জিএম (এইচআর-১) সাঈদ মাহমুদ বলেন, জিএম আব্দুল মালেক বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তে রংপুরে এসেছি। সার্বিক বিষয়গুলো খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এ বিষয়ে জিএম মোহাম্মদ আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যা করেছি তা বিটিসিএলের আইন অনুযায়ী করেছি। কোন অনিয়ম করিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত