বর্জ্যে বিপন্ন কৃষ্ণ খাল
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরের উত্তর অংশের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম কৃষ্ণ খাল। অতীতে খালটির স্বচ্ছ পানিতে নৌকা চলত। এখন খালটির করুণ দশা। ভরাট হয়ে গেছে খালের সিংহ ভাগ। খালের বর্জ্যে বাড়ছে কলাগাছ। প্রবাহিত হয় না পানি। স্থানীয়দের ডাস্টবিনে রূপ নিয়েছে খালটি।
![](/assets/archive/images/online/2018/January/download(2).jpg)
নগরের বায়েজিদ-অক্সিজেন-কুয়াইশসহ আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম কৃষ্ণ খাল। এ খালটি মিলেছে পশ্চিম কুয়াইশ, শীতল ঝরনা খাল হয়ে শিকারপুর ইউনিয়ন, লালা চন্দ বিল, অনন্যা আবাসিক এলাকা, অক্সিজেন, চান্দগাঁও হয়ে কর্ণফুলী নদীতে। এখন খালটির বেহাল অবস্থা। স্থানীয় ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের অভিশাপ জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষ্ণ খাল সংস্কারের বিকল্প নেই। খালটি এই এলাকার বিশাল একটি অংশকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এই এলাকার পানি সরাসরি পড়ে কর্ণফুলী নদীতে। এখন খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।’ চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭টি খাল ড্রেজিং ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণ খালও আছে। এবার ছয়টি জোনের ১৪৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫৭টি খাল থেকে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ঘন মিটার মাটি তোলা হবে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নগরের উত্তর অংশের বৃহত্তর এলাকার পানি কৃষ্ণ খাল দিয়ে কর্ণফুলীতে পড়ে। দীর্ঘদিনের অবহেলায় খালটির এখন বেহাল অবস্থা। জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের খালগুলো খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণ খালও আছে। এবারের সংস্কারে খালটি পূর্বের চেহারা ফিরে পাবে।’ বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরবাসীর রুটিন ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে ছয়বার জলাবদ্ধতা হয়। তাছাড়া পানি উঠে এমন এলাকায় বর্তমানে মানুষ বাসা ভাড়াও নিচ্ছেন না। নগরের বিদ্যমান খালগুলো পানি চলাচলের উপযুক্ত থাকলে জলাবদ্ধতা বহুলাংশে কমে যাবে বলে মনে করেন নগরবাসী।
![twitter](https://www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/img/twitter.png)