৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:২৩

উন্নয়নকাজে ধীরগতিতে ভোগান্তি

খুলনায় কখনো পানির পাইপ আবার কখনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে কাটা হচ্ছে রাস্তা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

উন্নয়নকাজে ধীরগতিতে ভোগান্তি

খুলনা নগরীর কেডিএ এভিনিউ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁঁড়ি চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খুলনা নগরীর ব্যস্ততম কেডিএ এভিনিউ সড়ক। প্রায় এক বছর ধরে সড়কটিতে চলছে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি। কখনো ওয়াসার পানির পাইপ বসানোর জন্য আবার কখনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে রাস্তা কাটা হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে পুরনো কালভার্ট ভেঙে ড্রেন বড় করা হলেও বর্ধিত অংশে ঢালাই না দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। এ কাজের মেয়াদ ছয় মাস আগে শেষ হলেও এখনো চলছে ধীরগতিতে নির্মাণ কাজ।  জানা যায়, বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (বিএমডিএফ)-এর আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে চারটি সড়ক সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ৩০ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তবে করোনার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় প্রথম দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। এর মধ্যেও কেডিএ এভিনিউর সড়ক ও ড্রেন সংস্কার কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ ভাগ। খালিশপুর মহসিন কলেজের সামনে ১৮ নম্বর সড়ক ও রেলগেট এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজও গতি হারিয়েছে। এখানে সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় যানজটে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। এ অবস্থা কেবল কেডিএ এভিনিউতে নয়, একইভাবে শেখপাড়া বাজার এলাকা, সাত রাস্তার মোড়, বয়রা ও খালিশপুর এলাকায় চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে ড্রেন উঁচু করায় আশপাশের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সড়কের এক থেকে দেড় ফুট নিচে চলে গেছে। এতে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা ছাড়া চলছে অনেক কাজ। বিএমডিএফ’র কাজ শুরুর পর ডিজাইনের বাইরে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে প্রায় দুই ফুট কালভার্ট চওড়া করতে হয়েছে।

এর আগে এসকেভেটর দিয়ে অপরিকল্পিত ড্রেন খননে মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রেনের সাইট ফিলিং বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও বালু ভরাট কাজ নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। কোন কাজ কখন শুরু করে কত দিনের মধ্যে শেষ করলে ভোগান্তি কম হবে এসব নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। তবে নির্মাণ ঠিকাদার তসলিম আহমেদ আশা জানান, করোনার কারণে তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। এর বাইরে খালিশপুরে মাটি কাটার পরও সীমানা জটিলতায় সিদ্ধান্তহীনতায় নির্মাণ কাজ করা যায়নি। ফলে দ্বিতীয় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, ড্রেন নির্মাণ কাজে সময় লাগছে বেশি। সেই সঙ্গে ঠিকাদারের লোকবলের অভাব ও গাফিলতির কারণেও কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। অবশ্য এসব নির্মাণ কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর