গাজীপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার নানীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে ঝলসে দিয়েছে ওই ছাত্রীর সৎভাই।
পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার (১৮ জুন) গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার একটি কাঁঠাল বাগানের পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ওই দুই জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন-গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও হাজী নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমীর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা আক্তার (১৩) এবং তার নানী বেবী বেগম (৫৫)।জয়দেবপুর থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে স্কুল থেকে নাতনী সানজিদাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বেবী বেগম। পথে একটি কাঁঠাল বাগানের পাশে পৌঁছাতেই তাদের পথরোধ করে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সানজিদার সৎভাই শুভ (২০) ও তার এক বন্ধু। এসময় তারা নানী ও নাতনীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। সানজিদা ও বেবী বেগমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। তাদের শরীরের ৫০ ভাগের বেশি ঝলসে গেছে। তবে নানীর অবস্থা গুরুতর।
ওসি মাহাতাব উদ্দিন আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে। তবে রাত ১০ টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি। শফিকুল ইসলামের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিন সন্তানের জননী শুভর মাকে বিয়ে করেন তিনি। সানজিদা বর্তমান সংসারের সন্তান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ