শিরোনাম
১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:২৫

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক বৃদ্ধির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক বৃদ্ধির সুপারিশ

বাংলা বর্ণ চেনে না রাজশাহী ও খুলনা জেলার ৫-১৬ বছর বয়সী ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। ইংরেজি ও গণিত বিষয়েও দুর্বল এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। এডুকেশন আউট লাউট প্রকল্পের এক জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানা গেছে। 

বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক ফয়জুল্লাহ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন। এছাড়া ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কানিজ ফাতেমা, প্রকল্প কর্মকর্তা আরাফাত আল ইয়াসিন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বাংলাদেশ স্ট্রিট চাইল্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমতিয়াজ হৃদয় প্রমুখ।

এ জরিপে রাজশাহী ও খুলনা জেলার ১ হাজার ৭৬০টি পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ৬-১৬ বছর বয়সী শিশু সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৩ জন। এদের মধ্যে ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৮৮টি গ্রামের ৭৫১ জন ছেলে ও ৭৮২ জন মেয়ে ছিল। গ্রাম, বিদ্যালয় ও পরিবারে গিয়ে এই শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মূল্যায়ণ করা হয়। 

জরিপে দেখা গেছে, বাংলা বর্ণ পড়তে পারেনি ১৯% শিক্ষার্থী, শব্দ না চেনায় গল্প পড়তে পারেনি ৬১.৯৫% ছেলে ও ৫৩.১৪% মেয়ে। ইংরেজি বর্ণ চিনতে পারেনি ৩২% শিক্ষার্থী, শব্দ না চেনায় গল্প পড়তে পারেনি ৮৪.৮৫% ছেলে ও ৮২.৮৬% মেয়ে। এছাড়া একক অংক শনাক্ত করতে পারেনি ২৭.২৫% শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৮০-৯০% শিক্ষার্থী বিয়োগ ও ভাগ করতে পারেনি।

প্রকল্প প্রতিবেদনে প্রথমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক ও বাজেট বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। 

সভায় কানিজ ফাতেমা বলেন, শিশুদের শিখন স্তরের বর্তমান অবস্থা যাচাইকরণে এডুকেশন আউট লাউট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নাগরিক কর্তৃক এ অঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান মূল্যায়ণ ও পরিমাপ করাই ছিল উদ্দেশ্য। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ অনুসারে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। 

রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন বলেন, শিক্ষার গুণগতমান যথাযথভাবে নিশ্চিত না হলেও সরকার এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষকদের নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানে যথাযথ পর্যবেক্ষণ না হওয়া এবং শিক্ষকদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের জটিলতায় শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এসব উত্তরণেও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর