রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কা, এরশাদ মহাজোট ছাড়লে পতন ত্বরান্বিত হবে

প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কা, এরশাদ মহাজোট ছাড়লে পতন ত্বরান্বিত হবে

প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা করছেন মহাজোট থেকে এরশাদ বের হয়ে গেলে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে। তাই সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। গত শনিবার বেসরকারি টেলিভিন বাংলা ভিশনে নিউজ অ্যান্ড ভিউজ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। টকশোর সঞ্চালক ছিলেন গোলাম মোর্তজা।

সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়া নতুন ভাবে ষড়যন্ত্র করছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কোন ষড়যন্ত্রের মধ্যে নেই। তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন। এটা কোন গোপনীয় বিষয়ও নয়। এরশাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে মর্মে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন মহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। আর এখানে ষড়যন্ত্র খোঁজারও কিছু নেই। কারণ রাজনৈতিক মেরুকরণে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতেই পারে। এটা তো অন্যায় নয়। তাহলে বৈঠক হয়েছে কি না এ নিয়ে কেন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন তাদের পতন নিশ্চিত। এরশাদ মহাজোট থেকে বের হয়ে নতুন কোনো জোটে যোগ দিতে পারেন। যদি এরশাদ অন্য কোনো জোটে যোগ দেন সেটা তো ষড়যন্ত্র হতে পারে না। সেটা ব্যক্তিগত কোনো ষড়যন্ত্র হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক মেরুকরণে কখনো বৈঠক হয় সেটা তো অস্বাভাবিক নয়। এরশাদ বিএনপির বাইরেও জোট করতে পারে। নোমান বলেন, চার সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারের পর সরকার দেখতে পেয়েছে জনসমর্থন কোন পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব কথা বলবেন তা গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। কিন্তু কিছুদিন ধরে তার মন্তব্য মানুষের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলছে না। তার মন্তব্য মানুষের কাছে কিছুটা হাস্যস্পদ। শেখ হাসিনা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। চার নির্বাচনের ফলাফল তিনি সহজভাবে মেনে নেওয়ার কথা নয়। আগামী নির্বাচনে পরাজয় হবে বুঝতে পেরেছেন। বুঝেছেন তিনি ভোট পাবেন না। চার সিটি করপোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ধন্যবাদ পায় কিনা সঞ্চালক জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল তার কোনো উদাহরণ নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচনের একটি টেস্ট কেস করার জন্য অংশ নিয়েছিলাম। যদি বাধা পায় জনগণ প্রতিরোধ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ছিল না। তারা স্বকীয়তা নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারেনি। সরকার পরোক্ষভাবে দখল করতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধে হয়নি। জনগণের মধ্যে একটি প্রতিরোধ করার মানসিকতা ছিল তাই সরকার পারেনি। তত্ত্বাবধায়ক এলে তারা নির্বাচনও দেবে না আর ক্ষমতাও ছাড়বে না প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের উত্তরে নোমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না। তিনি চিফ এঙ্িিকউটিভ। তার নিয়ন্ত্রণে সবকিছু হয়। কোন কর্তৃপক্ষ আসবে যারা তাকে (প্রধানমন্ত্রী) জেলে নেবে কিংবা খালেদা জিয়াকে জেলে নেবে। তার বক্তব্য আরও স্পষ্ট করা উচিত। এটা সঠিক, জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। চার সিটির নির্বাচনের পর জনগণের এই দাবি আরও জোরদার হয়েছে। আমরা আশাকরি গাজীপুরেও বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবেন।

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, অনেক আগেই গ্রামীণ ব্যাংক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতছাড়া হয়েছে। পরে অর্থমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ব্যাংক আগের চেয়ে আরও ভালো চলছে। তাহলে এখন কেন গ্রামীণ ব্যাংককে ভাঙার প্রয়োজন হচ্ছে। সেখানে ৫১ ভাগ শেয়ার সরকারের অধীনে নেওয়ার প্রয়োজন কেন? গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার একটি চেষ্টা বলে মনে হয়। কেন জানি না ইউনূসকে সরকার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে। তিনি তো রাজনীতি করেন না। নানা বিধ কেলেঙ্কারির পর আরেকটি কেলেঙ্কারি তৈরি করছে সরকার। বর্তমান কেলেঙ্কারি সরকার।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর