সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

বেতন দাবিতে শিক্ষকরা পাল্টাপাল্টি অবস্থানে

বেতন দাবিতে শিক্ষকরা পাল্টাপাল্টি অবস্থানে

বকেয়া বেতনের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেওয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল থেকে এ দাবিতে এক পক্ষ লাগাতার ক্লাস বর্জন শুরু করলেও আরেক পক্ষ যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ'র ব্যানারে শিক্ষকদের একাংশ সকাল ৯টা থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে শনিবারের মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের সদস্য সচিব ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, দুই মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ'র ব্যানারে শিক্ষকদের অপর অংশ প্রতিপক্ষের বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে যথারীতি দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল তারা ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়েছেন। সংগঠনের সদস্য সচিব ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, টাকার দরকার সবারই আছে। বেতনের দাবি উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত, শ্রেণীকক্ষে না গিয়ে নয়। উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত ২৮৫ জনের বাইরে সাবেক উপাচার্য ৩৩৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। অতিরিক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে গিয়েই টাকা ফুরিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে বেশ কয়েক মাস আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি না নেওয়াই উচিত।

 

 

সর্বশেষ খবর