শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

গ্রামীণ পরিবারের সদস্য আসলামের সাফল্য

গ্রামীণ পরিবারের সদস্য আসলামের সাফল্য

বাবা অন্যের জমিতে বর্গা-খাটা কৃষক। মা গৃহিণী। দারিদ্র্য ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। সেই মা-বাবার সন্তান আসলাম মিয়া। ১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হন মা। দারিদ্র্য থেকে মেলে মুক্তি। শৈশব থেকেই আসলাম মেধাবী ছাত্র। ২০০৬ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ লাভ করেন। এরপর এইচএসসিতেও জিপিএ-৫। তবে জীবনের মোড় ঘোরে ২০০৯ সালে, যখন খাজানা ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ চালু করে গ্রামীণ ব্যাংক। এর অর্থায়ন করে থাকে মালয়েশিয়ার খাজানা ফাউন্ডেশন। সুযোগ পান মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার। চলতি বছর অর্থনীতিতে জিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩.৭২৫ পেয়ে লাভ করেন স্নাতক ডিগ্রি। সাম্প্রতিক সময়ে ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়া (ইউএম) থেকে অফার আসে পিএইচডি করার। ব্রাইট স্পার্ক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (বিএসপি)-এর অধীনে তার গবেষণার বিষয় 'মাইক্রো ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ'। এটি তিনি শুরু করতে যাচ্ছেন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আসলামের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পিএইচডি শেষ করে দেশে এসে এখানকার মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি বলেন, 'আমার স্বপ্ন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বপ্নের মতোই। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য সমূলে উৎপাটন করতে চাই।'

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর