শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ঋণখেলাপি

তারেক-কোকোর মামলা খারিজের আবেদন

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ভাই আরাফাত রহমান কোকোসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ঋণ খেলাপের মামলাটি খারিজের আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বিবাদীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবি-উজ-জামানের আদালতে এ আবেদন করেন।
এ বিষয়ে আদালত শুনানির জন্য ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এ মামলা করেন। ওই দিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ২২ অক্টোবর জবাব দাখিলের জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। পরে বিবাদীদের ওই ঠিকানায় সাড়া না পেয়ে ১১ বিবাদীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন ড্যান্ডি ডাইং লিমিটেড, মরহুম সাঈদ এস্কান্দারের দুই ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহিনা বেগম, গাজী গালিব আবদুস সাত্তার ও মোজাফফর আহম্মদ। তবে মোজাফফর আহম্মদ মারা যাওয়ায় এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয় তার স্ত্রী শামসুন নাহার এবং তার ছেলে মাসুদ হাসানকে।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালে ৩ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং। '৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়। '৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ঋণ মঞ্জুর করে। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা হয়। মামলায় আরও বলা হয়, ঋণ গ্রহণের প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি খেলাপি হয়ে পড়ে। এরপর সোনালী ব্যাংক থেকে বিবাদী প্রতিষ্ঠানকে কিস্তি পরিশোধের জন্য বার বার তাগাদা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০১ সালে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করেছিল। মামলায় আরও বলা হয়, বিবাদীদের সোনালী ব্যাংক থেকে একাধিকবার ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদী প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই ঋণের টাকা আদায়ের জন্য আদালতে এ মামলা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর