শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আবাসিক ছাত্রীদের হল ভাঙচুর

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীরা বুধবার মাঝরাতে তাদের হল ভাঙচুর করেছে। ছাত্রী হলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা তীব্র পানি সংকট ও আসন সংকটসহ নানা সমস্যার প্রতিবাদে ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে এ ভাঙচুর চালায়। এদিকে একই ধরনের সমস্যার প্রতিবাদে গতকাল নতুন ছাত্রী হলের ছাত্রীরা অনশন করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অনশন প্রত্যাহার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে পানি সংকট বিরাজ করছিল। ছাত্রীরা হলের প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্টদের বার বার অবগত করেও সমস্যার সমাধান পায়নি। ঘটনার দিন সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। সারা দিন এ নিয়ে ছাত্রীরা হলের সহকারী প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক শরমিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পানি সরবরাহ না পাওয়ায় ছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের আরেক সহকারী প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদকে ফোন দিলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং ছাত্রীরা পরে আবারও যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্টদের ফোন বন্ধ পায়। ছাত্রীরা হল-সংলগ্ন উপাচার্যের বাড়িতেও হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উপাচার্য বাসা থেকে বের হয়ে এসে ছাত্রীদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যায়। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানায়, আমাদের হলে সারা বছর পানির তীব্র সংকট লেগেই থাকে। 
এ ছাড়াও আবাসন সংকটসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশনেরও সমস্যা আছে। 
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক অসিম কুমার ভদ্র জানান, আমরা ছাত্রীদের সমস্যা সমাধানের জন্য আশ্বাস দিয়েছিলাম কিন্তু তারা সমস্যা সমাধানের সুযোগ না দিয়ে হল ভাঙচুর করেছে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করে, হলের পুরুষ সহকারী প্রভোস্ট প্রায় সময়ই হল পরিদর্শনের নামে বিনা নোটিসে হঠাৎ করে হলের ছাদে এমনকি ছাত্রীদের রুমে প্রবেশ করে। এতে ছাত্রীরা প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
এ অভিযোগ স্বীকার করে হল প্রভোস্ট জানান, শিক্ষকরা এখানে শুধু শিক্ষক হিসেবে নয় বরং অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে মাঝে মাঝে রুমে প্রবেশ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাদাত উল্লাহ জানান, পূর্ব নোটিস ব্যতীত কোনো পুরুষ শিক্ষকের ছাত্রী হল রুমে প্রবেশের অনুমতি নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর