শিরোনাম
সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতু নির্মাণে তিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি ডিসেম্বরে

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে তিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সামনের মাসেই এ চুক্তি হবে। কোম্পানি তিনটি হচ্ছে- রিচ কন্সট্রাকশন, ইলেকট্রনি এবং কনসালটেন্ট ফর ব্রিজ কন্সট্রাকশন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মূল সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করার পর এই তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনে। অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আমরা ইস্যু করেছি। তিনটি কোম্পানি সাড়া দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। চুক্তির পাশাপাশি দেশীয় টিম দিয়েই দরপত্র মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের ইভালুয়েশন টিম আছে। আমি তাদের সহায়তা চেয়েছি। তারাও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। 
প্রসঙ্গত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে টানাপড়েনে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অর্থায়নকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংককে না বলে দেওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয় সরকার। পরে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্টে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ তদারকি করা ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় সেতু বিভাগ। গত ২১ আগস্ট যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে তিনটি কাজের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জাজিরা পয়েন্টে সংযোগ সড়ক নির্মাণে কাজ করবে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। এ কাজের জন্য ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ ছাড়া মাওয়া পয়েন্টে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে আরও ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এদিকে মূল সেতু নির্মাণে গত জুনে দরপত্র আহ্বান করে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। 
এ ছাড়া সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ডলারের চাহিদা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মেটানো হবে। 
ক্ষমতাসীন সরকার এখনো পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের আশা করছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হবেই। আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। সেটি আমরা ব্যয় করতে পারি। এ ছাড়া বাজেটেও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চলতি বাজেটের অর্থ এবার খরচ করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর