রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে মিজানুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোররাতে রমনা থানা পুলিশ এনএসআই গলির দক্ষিণ পাশের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মিজানুর পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ঢাকা জেলা নির্বাচন কমিশন (ইসি) অফিসের পিয়ন (এমএলএসএস) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাত থেকে মিজানুরের মুঠোফোন বন্ধ এবং তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় তার স্ত্রী নাজনীন রহমান দিপু বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডি নম্বর-৮৮।
নাজনীন রহমান জানান, রবিবার আগারগাঁওয়ের অফিস থেকে বের হয়ে তিনি বাসার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠেন। গাড়ি থেকে গুলিস্তান নেমে সন্ধ্যা ৭টায় তাকে ফোন করে বলেন, 'আমি ২০ মিনিটের মধ্যে বাসায় আসছি'। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত বাসায় না ফিরলে তার মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলে সকালে তিনি পল্টন থানায় জিডি করেন।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের গলায় কালো দাগ ছাড়াও থুঁতনির নিচেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শ্বাসরোধে মিজানুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল ঢামেক মর্গের সামনে নিহতের ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মিঠু জানান, তার ভাইয়ের কোনো শত্রু আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন না।
মিজানুরের বাবার নাম মৃত আবদুল হামিদ শেখ। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে। রাজধানীর পূর্ব ধোলাইপাড়ের ২৭৩ নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।