সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম উপকূল মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের \\\'সেফটি জোন\\\'

মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের 'সেফটি জোন' হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের উপকূল। গ্রেফতার এড়াতে এবং সহজে মানব পাচার করতে কৌশল হিসেবে পাচারকারীরা কক্সবাজারের পরিবর্তে এখন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলকে ব্যবহার করছে। উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে গত ১৫ দিনে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতারসহ উদ্ধার করা হয় ৫৫ জনকে। যার মধ্যে গতকাল চান্দগাঁও থানার একটি হোটেল থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আকতার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও স্থানীয় জনসচেতনতার কারণে কক্সবাজারে মানব পাচারের বিরুদ্ধে একটা অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাই পাচারকারীরা রুট পরিবর্তন করেছে।

বেসরকারি সংস্থা ইপসার মানব পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার সিরাজ উদ্দীন বেলাল বলেন, কক্সবাজারের লোকেরা মানব পাচার বিষয়ে এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হওয়ায় পাচারকারীরা ওই এলাকাকে নিরাপদ মনে করছে না আর। ফলে তারা রুট পরিবর্তন করেছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার যুবক অবৈধভাবে নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা চালায়। কিছু মালয়েশিয়া যেতে পারলেও বিরাট একটি অংশ দেশি-বিদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন।

জানা যায়, এক সময় মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের জন্য কঙ্বাজারকে একমাত্র রুট হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ওই রুটে নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে কৌশল পরিবর্তন করেছে পাচারকারীরা। তারা পাচারের জন্য এখন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা, কুতুবদিয়া চ্যানেলের হাটখালী মোহনা, সরল-গণ্ডামারার মধ্যবর্তী চরপাড়া, নগরীর ১৫ নম্বর জেটি, আনোয়ারি এবং সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন উপকূলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

 

 

সর্বশেষ খবর