বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

বেড়েছে মোটরসাইকেল চুরি হদিস পায় না পুলিশ

রাজনৈতিক অস্থিরতায় তটস্থ গোটা দেশ। মাসদুয়েক ধরে রাস্তায় তেমন যানবাহনের চলাচল নেই। ফলে অনেকের এখন প্রধান বাহন হয়ে গেছে মোটরসাইকেল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীতে সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩৫-৪০টি মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। এতগুলো মোটরসাইকেল চুরি হলেও উদ্ধারের ঘটনা খুবই কম। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রাইভেট কার চুরির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলেও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।
পুলিশের কাছে প্রতিকার না পেয়ে অনেকে পত্রিকা অফিসে ফোন করছেন প্রতিকারের জন্য। এ ধরনের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, সাধারণ মানুষের মোটরসাইকেল চুরি হলে তা শুধু থানায় মামলা রেকর্ড করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ কোনো পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেল ছিনতাই বা চুরি হলে ৫-৬ দিনের মধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করে ফেলে। নিজেদের মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারলেও অন্যদের ব্যাপারে তাদের গড়িমসি আছে।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর আদাবর থেকে দুটি মোটরসাইলে চুরি হয়। এর একটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল-২১-৩৮৩০ এবং অন্যটি নতুন, এখনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি। মোটরসাইকেল দুটির মালিক সুমনকুমার সাহা ও মাসুদুর রহমান জানান, তারা দুজন আদাবর থানার শেখেরটেক রফিক হাউজিংয়ের ৪/৫ নম্বর বাসায় ২৯ ডিসেম্বর ওঠেন। সোমবার রাতের যে কোনো সময় ভবনের নিচ তলার মূল গেটের তালা ভেঙে মোটরসাইকেল দুটি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। মঙ্গলবার সকালে বাড়িওয়ালা তাদের জানান, মোটরসাইকেল দুটি চুরি হয়েছে। চোরচক্র বাড়ির দারোয়ানকে হাত-পা বেঁধে রেখে ওগুলো নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগারগাঁও থেকে রাজীব নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো-ল-১১-০৫৭৯) চুরি হয়। রাজীব জানান, সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কাজে তিনি আগারগাঁও আইডিবি ভবনের সামনে মোটরসাইকেলটি রেখে উপরে যান। ২০-২৫ মিনিট পর নিচে নেমে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শেরেবাংলানগর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের কিছু পরিসংখ্যান পুলিশের কাছে থাকলেও মোটরসাইকেল চুরিসংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান নেই। মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধের জন্য অনেক আগ থেকেই একটি সেল থাকলেও তার কার্যক্রম অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করে। তবে মোটরসাইকেল উদ্ধার কম হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর