রবিবার, ১১ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

শিক্ষায় বৈষম্য কমানো দরকার

সেমিনারে বক্তারা

শিক্ষার মান বাড়ানো সময় ও শ্রমসাধ্য। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপেই বৈষম্য বিরাজমান। তাই মান বাড়ানোর চেয়ে বৈষম্য কমানো জরুরি। এ জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আমার অধিকার ক্যাম্পেইন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা : গুণগত মান ও বৈষম্য’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা গতকাল এসব কথা বলেন। সংগঠনের চেয়ারপারসন সিরাজুদ দাহার খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষা সেক্টরে বৈষম্য বিরাজ করছে। বৈষম্যের কারণে মূলধারার শিক্ষা থেকে হাজার হাজার ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী। রাষ্ট্রকে আগে বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করতে হবে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অগণতন্ত্রের প্রথম উপসর্গ হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ না করেই বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা। যাকে বলা হয় উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা। এই উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অগণতান্ত্রিক শিক্ষানীতির দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত। সংবিধানে বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার নির্ধারিত স্তর কারও জন্য পাঁচ বছর আবার কারও জন্য তিন বছর হতে পারে না।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ, অক্সফার্মের কর্মকর্তা রঞ্জু ত্রিপুরা, নটর ডেম কলেজের সাবেক শিক্ষিকা এন রাশেদা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হতে পারে না। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের যে পদ্ধতিতে পড়ানো হয়, তা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বহাল থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ভিন্নতা গুণগত। প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী তথাকথিত ভালো ফলাফল করে থাকে। সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচারে এ অর্জন শ্রুতিমধুর শোনালেও ফলাফলের গুণগত মান নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। প্রচলিত এই আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা পদ্ধতি দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর গুণগত মান যাচাই করা কঠিন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর