রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা

ভারী বর্ষণে দ্বিতীয় দিনের মতো নাকাল চট্টগ্রামবাসী

বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

টানা বর্ষণের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো নাকাল হতে হয়েছে চট্টগ্রামবাসীদের। ভারী বর্ষণে নগর ও জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। টেকনাফে পাহাড়ের বাঁধ ভেঙে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীপথে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় বরিশালে অভ্যন্তরীণ নৌপথে ছোট (৬৫ ফিটের কম দৈর্ঘ্যের) লঞ্চ চলাচল গতকাল সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম : দমকা হাওয়াসহ টানা বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচল ও পণ্য ওঠানো-নামানো কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল রুম জানায়, সকালে চারটি জাহাজ বহিঃনোঙর থেকে জেটিতে নোঙর করার কথা ছিল। একইভাবে দুটি জেটি থেকে বহিঃনোঙরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এসব জাহাজ নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেনি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২১৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে নগরের অনেক এলাকা কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান পানিতে ডুবে যায়।

টেকনাফে পাহাড়ের বাঁধ ভেঙে অর্ধশত ঘর বিধ্বস্ত : টেকনাফ ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের বাঁধ ভেঙে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধশত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ায় নূর মোহাম্মদের ঘোনা এলাকায় পানি সংরক্ষণের জন্য নির্মিত বাঁধটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। বাঁধ ভেঙে ঢল নাইট্যংপাড়া ও পুরাতন প্লানপাড়ার লোকালয়ে ঢুকে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।

বরিশালে অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ : কখনো ভারী আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টিপাতে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এদিকে লঘুচাপের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের এমএল টাইপের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এদিকে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসল। টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল তলিয়ে গেছে।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা শাখার উপ-পরিচালক আবুল বাশার জানান, নদীপথে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় অভ্যন্তরীণ নৌপথে ছোট লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর