রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা

সেই ডাক্তারের পদোন্নতি, অভিযোগকারী ওএসডি

সেই ডাক্তারের পদোন্নতি, অভিযোগকারী ওএসডি

ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত ডাক্তারের পদোন্নতি হয়েছে, তাকে নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পদায়ন করার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে অভিযোগকারী মহিলা ডাক্তারকে দেয়া হয়েছে শাস্তি। এরইমধ্যে ওই মহিলা ডাক্তারকে ওএসডি করে কিডনি হাসপাতাল থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কিডনি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীদের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি’র এক পরিচালকের প্রভাবেই উল্টো শাসিত্ম প্রদানের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে কথিত ধর্ষক ডাক্তারকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পদায়ন করার খবরে সেখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মেডিকেলের নারী শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষক শিক্ষককে প্রত্যাহারের’ দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন পাঠিয়েছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত ডা. মাসুদ ইকবালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।  

এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের পরিচালক জামানুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, একজন সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এজন্য অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় আর কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তা চিন্তা ভাবনা চলছে। কিন্তু রোগী, স্বজন, ডাক্তার-নার্সদের ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েও ডাক্তার কেন শাস্তির আওতামুক্ত থাকছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, বিভাগীয় তদন্তে প্রমানিত হলে তারও শাস্তি হবে। 

এদিকে অভিযোগকারী রোগী ও তার স্বজনদেরও উপুর্যপরি হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে যৌণ হয়রানি ও ধর্ষণ চেষ্টা সংক্রান্ত কোনো সাক্ষ্য দিলে তাদের কঠিন মাসুল দিতে হবে বলেও শাসিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে শেরে বাংলানগর থানায় সাধারণ ডাইরি করেও রোগী ও তার স্বজনরা সীমাহীন আতংকের মধ্যে দিনাতিপাতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযুক্ত ডাক্তারের বেপরোয়া দাপটের মুখে অভিযোগকারীরা রীতিমত তটস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. মাসুদ ইকবাল। তিনি বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘একটি চক্র কেবলমাত্র সুনাম ক্ষুন্নের জন্যই আমার পিছু লেগেছে।’

কিডনি ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, ইনস্টিটিউটের রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্ত ডা. মাসুদ ইকবালকে এ ইনস্টিটিউট থেকে অন্যত্র বদলি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ডাক্তারকে আরও লোভনীয় পোস্টিং দেয়া হয়েছে। তাকে এখন সলিমুলল্লাহ মেডিকেল কলেজে নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযোগ দেয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর