মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের মৃত্যুর পরদিন গতকাল রাজধানীতে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। বিশেষ করে জুমার নামাজকে ঘিরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুরসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব। আজও শহরজুড়ে এই বাড়তি নিরাপত্তা বজায় থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই পল্টন, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, মতিঝিল, মালিবাগ, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। তার বাসভবন ঘিরে ছিল কয়েকশ' পুলিশ ও র্যাব সদস্য। বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। বায়তুল মোকাররমের সবগুলো প্রবেশপথে কড়া নজরদারির পাশাপাশি মুসলি্লদের ব্যাগ তল্লাশি করে মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নগরীর কূটনৈতিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ যানবাহনে তল্লাশি চালায়। পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশকেও ওই এলাকায় দায়িত্ব পালনে দেখা গেছে। মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন দুপুরে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের মৃত্যুর পর কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম আযম বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৯২ বছর বয়সী এই জামায়াত নেতার আরও ৮৯ বছর কারাভোগ বাকি ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের নেতৃত্ব দেন।