শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য জননেতা নন্দিত রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ হানিফের অস্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে আজ।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, শ্রদ্ধানিবেদনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করে। সকাল ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিলে মরহুমের স্বজনরা ছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা অংশ নেন। এ সময় আজিমপুর কবরস্থানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।  

বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদ হানিফের একমাত্র পুত্র ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, শাহে আলম মুরাদসহ বিভিন্নস্থরের নেতা-কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী শোক বাণী দিয়েছেন।                    

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ হানিফ। উদার চিন্তা-চেতনা ও সংবেদনশীল মনোভাবের কারণে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের ঢাকাবাসীর প্রিয়জন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন গণমানুষের এই নেতা। সে কারণে সর্বমহলে তার গ্রহণযোগ্যতাও ছিল অপরিসীম। ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল পুরনো ঢাকার এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগমের ছোট সন্তান মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ছাত্ররাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব থেকে শুরু করে একজন সফল মেয়র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর জাতীয় নির্বাচন, মহান মুক্তি সংগ্রামে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা চিরস্মরণীয়। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী সময়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ১৪/ সালাহ উদ্দীন


 

সর্বশেষ খবর