সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ব্যাংক ঋণের সুদ কমাতে কমছে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা

সাধারণ মানুষ সঞ্চয়ে নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো হচ্ছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমানোর পাশাপাশি ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের সুদের হারও কমানো হবে। এতে ব্যাংকগুলোর খরচ কমে আসবে। তখন ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানো সহজ হবে বলে মনে করে সরকার। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রার বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমালে সাধারণ মানুষ আমানতে নিরুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সঞ্চয় কমে গেলে মানুষের হাতে নগদ টাকার প্রবাহ বেড়ে যাবে, ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। যা সাধারণ মানুষকে উল্টো ভোগান্তিতে ফেলবে বলে তারা মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমালে মানুষ সঞ্চয় কমিয়ে দেবে। বিকল্প কোনো পন্থায় সঞ্চয় করবে। এতে ব্যাংকে নগদ টাকারও সংকট দেখা দিতে পারে। এ জন্য সরকারের উচিত হবে ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা।
সূত্র জানায়, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়াতে এ খাতে মানুষের সঞ্চয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অথচ ব্যাংকগুলো চড়া হারে মুনাফা দিয়েও আমানত সংগ্রহ করতে পারছে না। ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হারও কমাতে পারছে না ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে নতুন ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক ভিত শক্তিশালী করতে চড়া সুদ দিয়েও স্থায়ী আমানত সংগ্রহে পিছিয়ে পড়ছে। কেননা এ খাতে এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সংশোধিত বাজেটের আগেই সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে চায় সরকার। এতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি। জানতে চাইলে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকার বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংকের সুদের হার এবং সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমাবে। তবে মুনাফা কত শতাংশ কমানো হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর