রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
থানায় সাধারণ ডায়েরি

গোপনে ডাকাতদের চাঁদা দেয় বরেন্দ্র আদিবাসীরা

বাস্তুভিটা হারিয়ে অনেক আগেই পথে বসেছে অধিকাংশ আদিবাসী পরিবার। অন্যের জমিতে চাষবাস করে এখন চলে তাদের সংসার। তবে তাতেও স্বস্তি নেই। যারা একটু ভালো আছে, তাদের গোপনে চাঁদা দিতে হচ্ছে ডাকাত দলকে। এক সময়ের ঘুম কেড়ে নেওয়া ডাকাত দলের নজর পড়েছে বরেন্দ্র আদিবাসী পরিবারগুলোর ওপর। গোপনে আদিবাসীদের কাছ থেকে ডাকাত দলের সদস্যরা চাঁদা তুলছে। তবে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের কাছে আদিবাসী পরিবারগুলো এমন কোনো অভিযোগ করেনি। ফলে তারা চাঁদার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ময়েনপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক সুনিল মাঝি ও মন্টু সরেনের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দেওয়া হয়। তারা দুজনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সুনিল মাঝি এ বছরের ২ জানুয়ারি ও মন্টু সরেন ৫ জানুয়ারি সাধারণ ডায়েরি করেন। এমন আরও আদিবাসী পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনেকে গোপনে ডাকাত দলকে চাঁদার টাকা দিয়েছেন বলে জানান আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করা রাজকুমার শাও। রাজকুমার শাও জানান, এক সময় ময়েনপুর এলাকায় ডাকাতদের দৌরাত্দ্য ছিল। এখন তারা ডাকাতি ছেড়ে চাঁদাবাজি করছে। তাদের টার্গেট সচ্ছল আদিবাসী পরিবারগুলো। যারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে, তাদের এলাকা ছাড়া করা হয়। সাঁওতাল ছাত্র বাবলু হেমব্রমকে চাঁদার দাবিতে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার।

আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন জানান, গোপনে ডাকাত দলকে চাঁদা দিতে হচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে বসবাস করা আদিবাসী পরিবারগুলোকে। যারা চাঁদা দিচ্ছে না, তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর