রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'ছাত্র সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে\\\'

\\\'ছাত্র সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে\\\'
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে উত্তরণের সৃষ্টি হয়েছে, তা এগিয়ে নিতে ছাত্র সমাজকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ষাটের দশকে যে ছাত্র আন্দোলন ছিল, তা স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে স্বাধিকার আন্দোলন। আজকের আন্দোলন দেশ গড়বার।
 
অাজ রবিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করা সমবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে। জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বাংলাদেশ মানব উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় এগিয়ে।
 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ভারতের দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক তালাত আহমদ। অন্যদের মধ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান।
 
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠ। এখানে যে জ্ঞানচর্চা হয় তা প্রবহমান। জ্ঞানের তরঙ্গ স্রোতে ত্রমবিকশিত মানব জীবনের অনুসৃত ধারাই বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং বৃদ্ধিবৃত্তির উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, সর্বোপরি গভীর দেশপ্রেম জাগ্রত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশে অবদান রাখতে হয়।
 
বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ষাটের দশকের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পালন করেছে অগ্রণী ভূমিকা। গণ-অভ্যুত্থানের অকুতোভয় শহীদ ড. শামসুজ্জোহা ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন তুচ্ছ করেছিলেন। একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য নারী-পুরুষকে।
 
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন একদিকে যেমন অর্জনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিচ্ছে, তেমনি দায়িত্বও দিচ্ছে। সে দায়িত্ব পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি দেশ ও জাতির প্রতি। তোমাদের এ অর্জনের প্রতি সমাজের মেহনতি মানুষের অবদান আছে। তাদের কাছে তোমরা ঋণী। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম এবং বিশ্বজননীর মতো দৃষ্টিভঙ্গি তোমাদের হৃদয়ে লালন করবে। বর্তমান সরকার ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ পরিণত করতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে। ছাত্র সমাজ তার অতীত গৌরবকে ধারণ করে জাতি গঠনে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।নবম সমাবর্তনে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৭১ জনকে এম.ফিল, পিএইচডি ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
 
 
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর