সোমবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
ফের তদন্তে পুলিশ

চট্টগ্রামে তিন কোটি টাকার ইয়াবা নিয়ে আপসরফা

চট্টগ্রামে তিন কোটি টাকার ইয়াবা নিয়ে আপসরফা

পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারণে চট্টগ্রামে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা এবং নগদ ৭ লাখ টাকাসহ দুই পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ী আটকের ঘটনায় আপসরফার সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। প্রথম দিন আটক বা উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ কিছু স্বীকার না করলেও গতকাল বিষয়টি নিয়ে খোদ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাই তদন্তে নেমেছেন। শীর্ষ পুলিশ কর্তারা ইয়াবা কেলেঙ্কারির সঙ্গে পুলিশ সদস্যের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার না করলেও ক্লোজ করা হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যকে। পুলিশ ও আটক ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে পুলিশের পক্ষপাতের বিষয়টি উঠে আসে। আটক ব্যবসায়ীরা চকরিয়া থানার ওসির কক্ষে বসেই সাংবাদিকদের কাছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আনেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে আটকের পর সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ শুক্রবার তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করলে শনিবার দিনভর রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে থানায়। সরেজমিনে জানা গেছে, রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময় কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারেননি থানায়। এতে করে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুই পুলিশ আটকের ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়ে যায়। কক্সবাজার থেকে চকরিয়ার এ ঘটনার তদন্তে যাওয়া পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ আটক দুই পুলিশ সদস্যের বিষয়ে তদন্তের কথা স্বীকার করে বলেছেন, চকরিয়া থানার কোনো পুলিশ অনুমতি ছাড়া কেন বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে গেলেন তা তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক ব্যবসায়ী গ্যাংলিডার ওসমান ওরফে দাদাভাই, তার সহযোগী কামাল উদ্দিন ও শাহজাহান মিন্টু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারটি (ঢাকা মেট্রো- গ-১৭-৬২৫৭) চালান মিন্টু। আটক পুলিশ হলেন এসআই আখতার হোসাইন ও কনস্টেবল বেলাল।

 

সর্বশেষ খবর