রবিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভিসির নাম ভাঙিয়ে ইবির মাদ্রাসা শাখায় দুর্নীতি!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি ও প্রোভিসির নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি করে চলছেন মাদ্রাসা শাখার চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের রক্ষাকবচ হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছেন ভিসি ও প্রোভিসি অফিসের কর্মকর্তারা। দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আগত শিক্ষকদের কাছ থেকে ভিসি-প্রোভিসির দোহাই দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ এলেও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের আশকারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন দুর্নীতিবাজরা। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, 'আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।'

ক্যাম্পাস ও ভিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে দেশের ১ হাজার ৪০০ ফাজিল (ডিগ্রি) ও কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসা ইবির অধীনে আসে। প্রথম দিকে এই শাখায় অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মাদ্রাসা শাখা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদ্রাসা শাখার সর্বোচ্চ কর্মকর্তা থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত হামেশাই দুর্নীতি চলছে। শিক্ষক প্রতিনিধি আবেদন, ম্যানেজিং কমিটি গঠন, অধিভুক্তি, নবায়ন, তদন্ত কমিটি গঠন, পরীক্ষা কেন্দ্রের আবেদনসহ মাদ্রাসাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন এই শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার, প্রোভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে নির্বিঘ্নে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা। চট্টগ্রাম, রংপুর ও খুলনা থেকে আসা কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসাসংক্রান্ত যে কোনো কাজ করতে হলে ভিসি, প্রোভিসি অফিস ও মাদ্রাসা শাখার কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর