খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরে উৎকোচ সংগ্রহ ও বণ্টনের নিখুঁত পন্থা অবলম্বন করেছেন একজন উচ্চমান সহকারী। তিনি উৎকোচ আদায় ও বণ্টনের হিসাব নিজ হাতে লিখে রাখতেন। হিসাবের একটি কপি বাংলাদেশ প্রতিদিনের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়- ২০১৪ সালের বোরো (সিদ্ধ) চাল সংগ্রহে মিলারদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এ টাকা খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ খুলনার কয়েকজন সাংবাদিকের মধ্যে বণ্টনের কথা উল্লেখ রয়েছে ওই কপিতে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের উচ্চমান সহকারী হাছিবুর রহমান একাধারে মজুদ শাখা, প্রশাসন শাখা ও হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি ৩৪ জন মিল মালিক থেকে ১৩ লাখ টাকা উৎকোচ আদায় করেন। এ টাকা আদায় ও বণ্টনের একটি হিসাব নিজ হাতে লিখে রাখেন। এই হাতে লেখা হিসাব সম্প্রতি ফাঁস হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর উচ্চমান সহকারীকে খুলনা মহেশ্বরপাশা সিএসডি গোডাউনে ও সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ডুমুরিয়া খাদ্য অফিসে বদলি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদক গতকাল ঘুষ লেনদেনের ওই কপিটি দেখালে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতরে কর্মরত অনেকেই হাছিবুর রহমানের হাতে লেখা বলেই শনাক্ত করেন।