বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের অপহরণ, ছিনতাই, মারধর, ছাত্রী হলে অবৈধভাবে ঢুকে দলীয় কর্মীদের পক্ষে সিট দখল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের মতো অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন নেতারা। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে একের পর এক অন্যায়-অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এদিকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন অপকর্মের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ, রোকনুজ্জামান রোকন, যুগ্ম সম্পাদক রাজিব মণ্ডল ও তিতাস চন্দ্র রায় একই সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হককে মেস থেকে অপহরণের পর মারধর করে তার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাকিবুল কায়েসের নেতৃত্বে ৭-৮ জন নেতা-কর্মী ১৯ জানুয়ারি দিনে-দুপুরে ক্যাম্পাসে অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শাহ্, হিসাব কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান ও একই দফতরের কর্মচারী পারভেজকে পিটিয়ে আহত করে। ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব ছাত্রী হলে ঢুকে নিজ দলের চার কর্মীকে সিট দখল করে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে হলের ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়। কিন্তু আজও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।এ ছাড়া পছন্দের প্রার্থীর চাকরির আবেদন বাতিল করায় সংস্থাপন শাখায় হামলা চালিয়ে কাগজপত্র তছনছ ও লুট করে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের এক নেতা।