আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বন্ধের ১০০তম দিন। বাসচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে টানা বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ বছরের ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলেও একদিনের ব্যবধানে তা আবার বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ইবির সব বিভাগে সেশনজট চরম আকার ধারণ করেছে। তবে ক্যাম্পাস খোলার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যস্ত রয়েছেন। চলমান এ পরিস্থিতিতে অনিশ্চিতের দিকে যাচ্ছে ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।
ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর ইবির শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাসের চাপায় তৌহিদুর রহমান টিটু নামে এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইবির প্রায় ৩০টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করে। সংঘর্ষ চলাকালে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ইবি প্রশাসন। বন্ধের ৩৭ দিন পর ৭ জানুয়ারি ইবির আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। তবে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিবির-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে হলগুলো আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে ইবি প্রশাসন। আর এসবের সঙ্গে যোগ হয় ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ-হরতালসহ সহিংস আন্দোলন। সব মিলিয়ে টানা ১০০ দিন বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। এর মধ্যে সপ্তাহের একদিন শুধু অফিস খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম চালুর সুপারিশ করে। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলেও ইবি খোলার কোনো উদ্যোগ নেই। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একজন আরেকজনকে বেকায়দায় ফেলে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। এ ছাড়া ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি দিলেও আমলে নিচ্ছে না প্রশাসন।