শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী

দূষিত পানি ও বাসি খাবার গ্রহণের কারণে বেশি ডায়রিয়া হয়

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র গরমের কারণে গত কয়েকদিনে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে  গেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) ভর্তি হচ্ছেন। অবস্থা এমনই যে, আইসিডিডিআরবিতে রোগীদের এখন আর খালি আসন নেই। ফলে হাসপাতালে আসা বাড়তি রোগীদের সেখানে অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৩০০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ৪০০ রোগী। যার মধ্যে অস্থায়ী তাঁবুতে ভর্তি আছেন ১০০ রোগী। সাধারণত সারা বছর আইসিডিডিআরবিতে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ভর্তি হয়। কিন্তু মার্চ থেকে গরম শুরু হলে রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। এ সময় রোগীর সংখ্যা গড়ে ৪০০ থেকে ৮৫০ ছাড়িয়ে যায়। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কর সংখ্যাই বেশি। রোগীদের অধিকাংশের পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি ও দুর্বল ভাব দেখা দিয়েছে। আইসিডিডিআরবি সূত্রে জানা যায়, রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে তাদের জন্য নতুন তাঁবু তৈরি করতে হবে। তবে আইসিডিডিআরবির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখানে ভর্তিকৃত রোগীদের ৮০ শতাংশই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। চিকিৎসকদের মতে, দূষিত পানি ও বাসি খাবার গ্রহণের কারণে গরমে মানুষের বেশি ডায়রিয়া হয়। তবে ভাইরাল ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের কারও কারও সুস্থ হতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় তৃষ্ণার্ত পথিক ও শিশুরা রাস্তার পাশে তৈরি করা শরবত, আইসক্রিম ইত্যাদি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পচা-বাসি খাবার খেয়েও অনেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মতে, গরমে বিশুদ্ধ পানির সংকট থাকায় এবং শিশু-বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। আইসিডিডিআরবির চিফ ফিজিশিয়ান (ডায়রিয়া ডিজিজ ইউনিট) ডা. আজহারুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ বছরের এ সময়টায় প্রতিবারই এমন হয়। তিনি এ সময় সবাইকে বিশুদ্ধ পানি পান ও পচা-বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যতটা পারা যায় রোদ ও গরম এড়িয়ে চলতে বলেছেন। আর গরমে যারা বেশি ঘামেন তাদের প্রচুর লবণ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ৫ মাস বয়সী শিশুদের স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর