মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় গাজীপুর থেকে অপহৃত দুই যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গাজীপুরের ভাওরাইদ দক্ষিণপাড়া প্রতিবন্ধী নগর সড়কের তিন মাথার মোড় থেকে উত্তরা আইইউবিএটির ছাত্র ও কাপাসিয়ার রাওনাট গ্রামের শেখ শাহজাহানের ছেলে শেখ শাহিন (২৬), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে তারিকুর রহমান (২২), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. রকি ওরফে জীবন (২০), টাঙ্গাইলের মধুপরের বীরতারা গ্রামের আবু তারেক (২৫), ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের নাগলা বাজার এলাকার কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ছেলে সঞ্জয় রায় (২৩), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া পাগলা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আল আমিন (২২), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ও গাজীপুরের শিমুলতলীর শেখ ওলিদুল ইসলামের ছেলে শেখ সাকিব (২৩) এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির ছাত্র কাপাসিয়ার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. কাইয়ুমকে (২৪) অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও ছয়টি মোবাইল ফোন সেটও উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা আইইউবিএটির ছাত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামামুশরীভুজ গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সাবরিনা কবির ওরফে মৌমিতাকে (২০) উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গাজীপুর কালীগঞ্জের মোক্তারপুর গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে শিমন মিয়া (২৮) ৫ মে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। এরপর রাজধানীর উত্তরার আইইউবিএটির ছাত্রী সাবরিনা কবির ওরফে মৌমিতা পূর্ব পরিচিতির ভাব দেখিয়ে মোবাইল ফোনে শিমনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। ফোনালাপের এক পর্যায়ে মৌমিতা দেখা করতে শিমনকে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গেটের সামনে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী শিমন তার চাচাত ভাই সাদ্দামকে (২৪) নিয়ে সোমবার দুপুরে বারি গেটে যান। এ সময় আট-নয় জন র্যাব পরিচয় দিয়ে তাদের একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুজনের চোখ বেঁধে ভাওরাইদ দক্ষিণপাড়া প্রতিবন্ধী নগরের আকাশমণি বনে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এ সময় অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শিমনকে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। না হলে হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনা পাশের আমবাগানে কর্মরত এক নারী দেখতে পেয়ে স্থানীয় পোড়াবাড়ী র্যাব ক্যাম্পে খবর দেয়।