বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে হবে দেশের প্রথম অয়েল মিউজিয়াম

চট্টগ্রামে হবে দেশের প্রথম অয়েল মিউজিয়াম

চট্টগ্রামে নির্মাণ করা হবে দেশের প্রথম ‘অয়েল মিউজিয়াম’। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে। বর্তমানে প্রকল্পটির নকশা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (চউক) জমা দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে শুরু হবে এক লক্ষ ৩৮৮ বর্গফুটের এই মিউজিয়াম নির্মাণ কাজ।   

জানা যায়, মেঘনা পেট্টোলিয়াম লিমিটেড ১১ দশমিক ২২ কাটা জায়গার ওপর জাদুঘরটি নির্মাণ করবে। নির্মিতব্য ভবনটি হবে ২০ তলার। ভবনের পৃথক তিনটি বেইসমেন্ট-এ থাকবে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে এটিএম বুথসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, প্রথম ফ্লোরে থাকবে মিউজিয়াম ও ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানের অফিস, দ্বিতীয় ফ্লোরেও থাকবে ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান, তৃতীয় ফ্লোরে থাকবে রেস্টুরেন্ট, চতুর্থ ফ্লোরে থাকবে নামাজের স্থান, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের নিজস্ব কেন্টিন-কিচেন, পঞ্চম থেকে ১৯তম ফ্লোর পর্যন্ত থাকবে মেঘনার নিজস্ব কার্যালয়। ছাদে থাকবে ‘এমপিএল লাউঞ্জ’।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান বলেন, মেঘনার নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের প্রথম তেল জাদুঘর। একই সঙ্গে এটি হবে চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ, নয়ানাভিরাম ও দৃষ্টিনন্দন ভবন। বর্তমানে প্রকল্পটির দাপ্তরিক প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি খুব শীঘ্রই পাইলিংয়ের কাজ শুরু করা হবে। এটি কেবল চট্টগ্রাম নয় দেশেরই একটি জাতীয় সম্পদ হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, দেশে কত প্রকার ও কোন জাতীয় তেল আছে তা অনেকেরই অজানা। তাছাড়া তেলের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কোন দেশে তেলের কী অবস্থান তার অনেক কিছুই জানার সুযোগ থাকে না। তাই মিউজিয়ামে এসব অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। এখানে থাকবে উপমহাদেশে জ্বালানি তেলের আবিষ্কার ইতিহাস, দেশে কত প্রকারের তেল আছে, দেশে বিভিন্ন তেল কোম্পানির আগমণ ও তাদের কার্যক্রম, বাংলাদেশে তেল অনুসন্ধানের কার্যক্রম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) এবং পেট্রোবাংলার অধীন কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম, বাংলাদেশের তেলক্ষেত্র, তেলের মজুদ, বাংলাদেশের তেল সম্পদের অর্জন ও সম্ভাবনা, বিভিন্ন দেশের দুষ্প্রাপ্য তেলের নমুনাসহ অনেক কিছুরই সমাহার থাকবে।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদ বলেন, তেল পদার্থটা সহজেই নিঃশেষ হয়ে যায় এমন একটি পণ্য। তাই এটির সঠিক ব্যবহার, ব্যবহৃত তেলের নমুনা সংগ্রহ করে রাখাসহ নানা কিছু তথ্যের দরকার হয়। একটি মিউজিয়াম এসব কিছু করার খুব সহজ মাধ্যম। তাছাড়া আমাদের দেশ যে প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি দেশ- মিউজিয়ামের মাধ্যমে তাও সকলের কাছে প্রতিভাত হবে।  
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ জুন, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর