মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে জাল টাকার ১৮ সিন্ডিকেট

সারা দেশে জাল টাকার দেড় ডজন সিন্ডিকেট এখন সক্রিয়। ঈদুল ফিতরের উৎসব ও রমরমা বাজার টার্গেট করে নানা কৌশলে তারা কোটি কোটি টাকার মূল্যমানের জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট ধরতে পারলেও তাদের তৎপরতা থেমে নেই। রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এই সিন্ডিকেটগুলো এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই সিন্ডিকেটগুলোর অধিকাংশের নেতৃত্বে রয়েছে পাকিস্তান ও আফ্রিকান নাগরিক। তবে চাইনিজ নাগরিকরাও টাকা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে গোয়েন্দাদের কাছে। পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে জাল টাকার দুটি সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। যারা ১৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা অাঁটছিল। ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু অধিকাংশ সিন্ডিকেটের সদস্য ধরা না পড়ায় সারা দেশে বিপুল অঙ্কের জাল নোট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দারা। গত ১৯ জুন শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে র‌্যাবের অভিযানে গত শনিবার রাতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে ধরা পড়ে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। বনশ্রীর ওই ফ্ল্যাটে সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই জাল নোট তৈরি করে আসছিল। এই সিন্ডিকিটের হোতা আবদুর রহিম শেখ এখন র‌্যাবের হেফাজতে রয়েছে। আবদুর রহিম র‌্যাবের কাছে জাল টাকা তৈরির নানা তথ্য ফাঁস করছে। চক্রের জাল দেশব্যাপী : জালিয়াত চক্রের বিশাল সিন্ডিকেট দেশব্যাপী নিয়ন্ত্রণ করছে জাল টাকার ব্যবসা। এর সঙ্গে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এ চক্রের একাধিক সদস্য কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জাল টাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ ধরা পড়লেও বন্ধ হয়নি তাদের তৎপরতা। জাল নোট নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে প্রতারকরা বিভিন্ন ধরনের সংকেত ব্যবহার করে থাকে বলে জানা গেছে। এদের অপতৎপরতায় সারা দেশে ১০০, ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোটের পাশাপাশি ২০ ও ৫০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে।

 

সর্বশেষ খবর