রেলওয়ের নিয়োগবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে রেল শ্রমিক লীগের একাংশের নেতারা! তাদের তৈরি তালিকা অনুযায়ী লোক নিয়োগের জন্য এজাতীয় আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান কয়েকজন শ্রমিক নেতা। অভিযোগ রয়েছে, অতীতে পোষ্য কোটার নামে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিয়েছেন। শ্রমিক লীগের কমিটির মেয়াদ বহু আগে শেষ হলেও রেলের নিয়োগ বাণিজ্য করতেই অবসরপ্রাপ্তরা কব্জায় রেখেছে শ্রমিক সংগঠনটি। স্বচ্ছতা ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে রেলের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ এবং দায়িত্বশীলদের বিতর্কিত করতে এসব কৌশল নিচ্ছেন বলে মনে করেন খোদ সরকার সমর্থিত শ্রমিক নেতারা। শ্রমিক লীগের নেতাদের সম্ভাব্য নিয়োগ তালিকাসহ বিভিন্ন দাবি অনুযায়ী কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনও করবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ রেলের চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর নজরদারিতে রেখেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। যারা এজাতীয় অনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা রয়েছে তার। গতকাল সকালে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে সিআরবিতে শোডাউন করেছে শ্রমিক লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে রেলের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক মকবুল আহম্মদের কাছে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবির মধ্যে রয়েছে জটিলতা নিষ্পত্তি করে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন, জরুরি ভিত্তিতে কর্মচারীদের জরাজীর্ণ বাসা-বাড়ি মেরামত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ সুনিশ্চিত করা, রেলের জায়গায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে বাসার এক্সটেনশন ভাঙা বন্ধ রাখা। রেলওয়ের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি শাখায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আখন্দ বলেন, সংগঠনের নাম বিক্রি করে কেউ নিয়োগবাণিজ্য ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।