শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

১৮৯ কোটি টাকার সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

১৮৯ কোটি টাকার সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ

সিলেট নগরীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর ওপর ১৮৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চারলেনের আরসিসি গার্ডার সেতু। ৩৯১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ দশমিক ৯০ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণে সময় লেগেছে ১০ বছর। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই সেতুটি গত ৮ অক্টোবর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উদ্বোধনের দিন থেকেই এই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। অপরিকল্পিতভাবে ব্যস্ততম এলাকা দিয়ে চারলেনের এই সেতু তৈরি করায় নগরীর যানজট নিরসনের পরিবর্তে বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সওজ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুর নকশায় ক্রটি রয়েছে দাবি করে নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করা থেকে বিরত থাকে। অবশেষে নকশা সংশোধন করে ১৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কাজীরবাজার ও শেখঘাট। ওই এলাকা দিয়েই সেতুর সংযোগ সড়কটি এসে মিশেছে। তাই চারলেনের এই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল করলে পুরো নগরীতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় যানজটের কথা মাথায় রেখে নবনির্মিত এই সেতু দিয়ে ভারী (বাস ও ট্রাক) যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেতুর উভয় পাশে সওজ কর্তৃপক্ষ ‘বার’ বসিয়ে দেয়। ৮ ফুটের বেশি উচ্চতার যান ওই সেতু দিয়ে চলাচল না করতে নোটিসবোর্ডও টানানো হয় সেতুর উভয় প্রান্তে। ফলে বড় বাজেটের এই সেতু দিয়ে কেবল অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, সেতু চারলেন হলেও জিতু মিয়ার পয়েন্টে এসে যে সড়কে সেতুটি মিলেছে সেটি দুইলেন। তাই ভারী যান চলাচল করলে নগরীতে দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর