মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেবে এলডিপি : অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। গতকাল দলের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও চতুর্থ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন করতে গিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো জোটগতভাবে করা সম্ভব নয়। আমাদের পার্টি আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাই নিজ নিজ এলাকায় আমাদের প্রার্থী ঠিক করতে হবে।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ড. অলি আহমদ এ ঘোষণা দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তবে নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যের সময় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। দেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করে অলি আহমদ বলেন, ব্যক্তিগত লোভ-লালসা পরিহার করে জনগণকে আস্থায় নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন নয়। দেশের স্বার্থে সংবিধানের আমূল সংস্কার দাবি করে অলি আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার সময় এসেছে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুধু উন্নয়ন দিয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বা স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব নয়। সরকারের দলীয়করণ ও কিছু পদক্ষেপ গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের জন্য অশনি সংকেত। রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের বিতর্কিত করা হচ্ছে এবং পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একে অপরকে ঘায়েল করতেই সবাই ব্যস্ত। এভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ চিরদিন বেঁচেও থাকব না বা ক্ষমতায়ও থাকব না। তারপরও কেন দেশের মানুষকে জিম্মি করে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের জীবনযাপন করতে বাধ্য করছি? ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করছি? জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনে বাধার সৃষ্টির করছি? গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিচ্ছি? তিনি রাজনীতিবিদদের মুখে লাগাম দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, লাগামহীন বক্তব্য রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি করছে। এভাবে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। অতিথি বক্তা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সরকারের উচিত, যত শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন দেওয়া। তিনি বলেন, দেশে এখন নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলছে।

 এ লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। কিন্তু কোথাও আওয়ামী লীগ আসে না, তারা পাঠায় পুলিশকে। সরকার পুলিশ দিয়ে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। সরকার বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে পুলিশকে ব্যবহার করছে। নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, সারা দেশে পুলিশ আমাদের কাউন্সিল করতে দিচ্ছে না। কাউন্সিলের জন্য ১০-২০ জন নেতা-কর্মী এক জায়গায় জড়ো হলেই তাদের আটক ও মামলা দেওয়া হচ্ছে।

কাউন্সিল অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল উদ্দিন মোস্তফা, আবদুল করীম আব্বাসী, আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, আবদুল গণি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর