রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

৫২০ কোটি টাকার কোকেন পাচার নিয়ে তোলপাড়

চোরাচালানের নতুন ট্রানজিট বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেনাপোল স্থল বন্দর হয়ে ট্রাকে করে ভারতে পাচার হওয়া ৫২০ কোটি টাকা (৬৫০ লাখ মার্কিন ডলার) মূল্যের ১০ কেজি কোকেন আটকের ঘটনায় কাস্টমসে তোলপাড় চলছে। মিয়ানমারের ওই কোকেন বাংলাদেশ হয়ে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যায়। এরপরই সেখানে মাদকের চালানটি আটক করে দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। এ প্রসঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। তবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, এই কোকেন কোথা থেকে এলো, কিভাবে ভারতীয় কোন ট্রাকে গেল, তা জানতে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক শরিফ আল হোসাইনকে তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা বা ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) ঢাকা কার্যালয়ের কো-অর্ডিনেটর কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশ এখন কোকেন চোরাচালানের সম্ভাব্য ট্রানজিট হয়ে গেছে। এর আগেও কয়েকটি কোকেনের চালান বাংলাদেশে আটক হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোকেন পাচারের ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম।

জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের অপর প্রান্ত ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ১০ কেজি ওজনের কোকেনের ওই চালানটি বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে এনসিবি। ভারতীয় এই ট্রাকটি বাংলাদেশ থেকে সেদেশে গেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ কর্মকর্তা এস পি তিওয়ারি বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে, পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোকেনের একটি বড় চালান আসছে। পরে সেখানে ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগে পাউডার জাতীয় সন্দেহজনক পণ্য পাওয়া যায়। তখন বিএসএফ সদস্যরা তা জব্দ করে এবং ট্রাক চালককে আটক করে। এই কোকেন আটকের পর তা এনসিবি কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেয় বিএসএফ। এনসিবি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এই পাউডার আসলে কোকেন। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন সুমন শৈল নামে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক চালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভারতের এনসিবি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে সড়ক পথে গাড়িতে করে পাচার করা কোকেন আটকের ঘটনা এটাই সম্ভবত প্রথম।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর