শিরোনাম
সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিলেটে উধাও সিগন্যাল বাতি

লাঠি বাঁশিতেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

১৯৯৬ সালে সিলেট পৌর শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ততম সাতটি পয়েন্টে বসানো হয়েছিল সিগন্যাল বাতি। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৯ বছর। সিলেট পৌরসভা উন্নীত হয়েছে সিটি করপোরেশনে। কিন্তু উন্নীত হয়নি ট্রাফিক ব্যবস্থার। একদিনের জন্যও জ্বলেনি সিগন্যাল পোস্টের লাল-হলুদ-সবুজ বাতি। বিপর্যস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার সাক্ষী হিসেবে এতোদিন সিগন্যাল বাতিগুলো অকার্যকর   অবস্থায় বিভিন্ন পয়েন্টে শোভা পেলেও এখন তা উধাও হয়ে গেছে। উন্নয়ন কাজের নামে সিগন্যাল বাতিগুলো অপসারণ করে ফেলেছে সিটি করপোরেশন। ফলে নগরীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাঁশি আর লাঠিতেই ভরসা রাখতে হচ্ছে পুলিশকে।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্রে জানা যায়, মাঝারি শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৬ সালে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। নগরীর ব্যস্ততম চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, নয়াসড়ক, সুরমা মার্কেট, নাইওরপুল, আম্বরখানা ও নয়াসড়ক পয়েন্টে স্থাপন করা হয় ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি। কিন্তু পরবর্তীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এই সিগন্যাল বাতিগুলো কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে বাঁশি আর লাঠি দিয়েই ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশ স্বল্পতায় অনেক সময় নগরীতে দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলো কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছর থেকে প্রতিবছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু কোনো বছরই বাজেটে বরাদ্দকৃত টাকা এ খাতে ব্যয় করা হয়নি। ফলে কোনো উন্নতি হয়নি নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার।

এদিকে, সম্প্রতি নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ করতে গিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলো তুলে ফেলা হয়। পরবর্তীতে রাস্তার কাজ শেষ হলেও সিগন্যাল পোস্টগুলো পুনরায় স্থাপন করা হয়নি।

এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আজিজুর রহমান জানান- সিগন্যাল বাতিগুলো দীর্ঘদিন অকার্যকর অবস্থায় পড়েছিল। রাস্তার উন্নয়ন কাজের সময় এগুলো অপসারণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেলে সিটি করপোরেশন আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থার উদ্যোগ নেব। নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর