বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরে ধীরগতি

চলছে ঢিলেঢালাভাবে কারখানা নির্মাণ

নাজমুল হুদা, সাভার

এক বছরে বেশ  কয়েকবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ও হুঁশিয়ার করার পরও হাজারীবাগের ট্যানারির একটিও সাভার চামড়াশিল্প নগরে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। ধীরগতিতে চলছে কারখানাগুলোর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। হাতে গোনা কয়েকটি কারখানার কাজ ৪০ ভাগ শেষ হলেও অধিকাংশ কারখানার অবকাঠামোগত কাজ এখন পর্যন্ত শুরু করা হয়নি। ফলে আগামী বছরেও ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর সম্ভব হবে কিনা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মালিকরা। গতকাল দুপুরে সাভার হেমায়েতপুরের হরিণধারায় সরেজমিন দেখা যায়, বরাদ্দ পাওয়া অধিকাংশ মালিক তাদের প্লটের সীমানাপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছে। আবার ভবন নির্মাণের কাজও শুরু করতে পারেনি অনেকে। কয়েকজন অবকাঠামোর কাজ শুরু করলেও চলছে ধীরগতিতে। এসব কারখানা নির্মাণে প্রয়োজনের তুলনায় শ্রমিক সংখ্যা অনেক কম। অ্যাপক্স তাজিন লেদার করপোরেশন ও মেসার্স মুন ট্যানারির গ্রাউন্ড ফ্লোরের পিলার মাত্র উঠছে। জহির ট্রেডিংয়ের তৃতীয় তলার ছাদ  তৈরি শেষ হয়েছে কেবল। কুমিল্লা ট্যানারি, মেসার্স ব্রাদার্স ট্যানারিসহ বেশ কিছু কারখানার বাইরে নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সামান্য সংখ্যক শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেলেও কারখানাগুলোর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হতে এখনো ৫-৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগবে বলে জানা যায়। একই অবস্থা নিউ কাজল ট্যানারি, সালমা ট্যানারি, এ কে লেদারসহ কয়েকটি কারখানার। ঢাকা হাইড স্কিনের বেজমেন্টের কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রশাসনিক অফিস ভবনের কাজ চলছে। তবে কারখানাগুলোয় নিয়োজিত কর্মীরা কেউই জানেন না কাজ কবে শেষ হবে বা মেশিনপত্র কবে আনা হবে। এ ছাড়া কোনো কোনো প্লটের স্থাপনা তৈরি করার জন্য মাটি কেটে স্ত‚প করে রাখা হয়েছে। ব্রাদার্স ট্যানারির বাইরে সাত-আটজন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। কারখানা নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে এখনো ছয়-সাত মাস বা তারও বেশি সময় লাগবে বলে তারা জানান। অন্যদিকে ট্যানারি স্থানান্তর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ জানান, পরিবেশবান্ধব কারখানায় প্রক্রিয়াজাতকরণ চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন না করলে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা যাবে না।

সর্বশেষ খবর